তারুণ্য নির্ভর দল নিয়ে ফাইনালের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের কাছে ৭ উইকেটে হেরে বঙ্গবন্ধু বিপিএল শেষ করল বন্দর নগরীর দলটি। ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগে আশানুরূপ নৈপুণ্য দেখাতে না পারার কারণে দল হেরেছে বলে মনে করেন অধিনায়ক আফিফ হোসেন। তারপরও টুর্নামেন্টে দলের সার্বিক নৈপুণ্যে হতাশ নন এ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৯.১ ওভারে ১৪৮ রানে অল আউট হয়। সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ, আকবর আলী করেন ৩৩ রান। জবাবে সুনীল নারাইনের ১৬ বলে ৫৭ রানে ৪৩ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে কুমিল্লা। বিপিএল-এর রেকর্ড মাত্র ১৩ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন সুনীল নারাইন।
‘ব্যক্তিগতভাবে আমার ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জন্য এটা দারুণ টুর্নামেন্ট ছিল। আমরা এখান থেকে অনেক কিছুই শিখেছি। আশাকরছি, ইনশা আল্লাহ আমরা আরও ভাল ক্রিকেট খেলব। সামনের দিনগুলোতে আমাদের এ অভিজ্ঞতা কাজে দেবে’ -ম্যাচের পর বলছিলেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স অধিনায়ক আফিফ হোসেন।
মেহেদী হাসান মিরাজ ও আকবর আলীর ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করে আফিফ বলেছেন, ‘৫০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর মেহেদী হাসান মিরাজ ও আকবর আলী দারুণ ব্যাটিং করেছেন। যা আমাদের লড়াই করার মত পুঁজি এনে দিয়েছিল। সার্বিকভাবে আমরা আসলে ভাল ব্যাটিং করতে পারিনি, বোলিংও প্রত্যাশিত ছিলনা।’
ইনিংসের প্রথম বলে প্রতিপক্ষ ওপেনার লিটন দাসকে আউট করেন শরিফুল ইসলাম। কিন্তু দারুণ এ শুরুর পর দানব হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সুনীল নারাইন। এ প্রসঙ্গে আফিফ হোসেন বলেছেন, ‘প্রথম বলে লিটন দাসকে আউট করার মূহুর্তটা আমাদের জন্য দুর্দান্ত ছিল। কিন্তু তারপর আমরা প্রত্যাশিত ক্রিকেট খেলতে পারিনি।’