বন্দর নগরী চট্টগ্রাম, ঢাকার পর দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর। শিল্প-সংস্কৃতির মতো ক্রীড়ায়ও রয়েছে এ জেলার গৌরবময় ইতিহাস। বন্দর নগরীর ক্রীড়া চর্চার গুরুত্বপূর্ণ কাজীর দেউরির আউটার স্টেডিয়াম, প্যারেড মাঠ ও পলোগ্রাউন্ড।
জাতীয় এ্যাথলেটিকসে টানা সাত আসরের দ্রুততম মানব মোশাররফ হোসেন শামীম চট্টগ্রামের ছেলে। কাজীর দেউরির আউটার স্টেডিয়াম ও এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে নিজেকে প্রস্তুত করে জাতীয় পর্যায়ে উঠে এসেছিলেন এ স্প্রিন্টার। অনুশীলনের জন্য পলোগ্রাউন্ডও মাঝেমধ্যে ব্যবহার করতেন। স্থানীয় খেলাধুলায় ভাটার টানের পেছনে মাঠ সংঙ্কটের পাশাপাশি এ প্রজন্মের অনাগ্রহের কথাও উল্লেখ করলেন সাবেক এ কৃতী এ্যাথলিট, ‘মাঠ সঙ্কট খেলাধুলা কমে যাওয়ার বড় একটা কারণ। মাঠ থাকলে বাচ্চারা সেখানে যাবে, খেলাধুলা করবে। এভাবেই প্রতিভার বিকাশ ঘটে। আমার মতে, মাঠ সঙ্কটে একমাত্র কারণ নয়। খেলাধুলার প্রতি বর্তমান প্রজন্মের অনাগ্রহ বড় একটা কারণ।’
ফুটবলার আশীষ ভদ্র, ইকবাল খান, দীলিপ বড়ুয়া, সুহাস বড়ুয়ার মতো ফুটবলারদের উঠে আসা উল্লিখিত মাঠগুলো থেকেই। ক্রিকেটার আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, নুরুল আবেদীন নোবেল, নাফিস ইকবাল, আফতাব আহমেদ, তামিম ইকবালদের উঠে আসার সিঁড়ি ছিল এ মাঠগুলো।
আউটার স্টেডিয়াম:
একটা সময় চট্টগ্রামের লোয়ার ডিভিশনের ম্যাচের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে এ মাঠ। স্থানীয় ক্রীড়াবিদদের অনুশীলনের অন্যতম ভেন্যু ছিল এটা। হ্যান্ডবল, ভলিবল, কাবাডিসহ অন্যান্য খেলার ভেন্যু ছিল এটা। পরিচর্যার অভাবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ মাঠ আর সেভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছেনা।
পলোগ্রাউন্ড:
টাইগারপাস এলাকার এ মাঠ বছরের নির্দিষ্ট একটা সময় ব্যস্ত থাকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাসহ বিভিন্ন মেলার ভেন্যু হিসেবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন এ মাঠে একাধিক ক্রিকেট একাডেমির কার্যক্রম পরিচালিত হয়। অতীতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতাও আয়োজিত হতো এ মাঠে।
প্যারেড মাঠ:
চট্টগ্রাম কলেজের মাঠ ‘প্যারেড মাঠ’ নামে স্থানীয়দের কাছে অধিক পরিচিত। স্থানীয় ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, একটা সময় এ মাঠে ক্রিকেট-ফুটবলসহ বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের জমজমাট প্রতিযোগিতা আয়োজিত হত। যেখানে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের তারকাদেরও দেখা যেত। অযত্ন-অবহেলার কারণে এ মাঠ আগের অবস্থায় নেই। সেভাবে প্রতিযোগিতাও হয়না। আগের অবস্থা না থাকলে প্যারেড মাঠে পরিচালিত হয় স্থানীয় একাধিক ক্রিকেট একাডেমির কার্যক্রম।